বিয়ে দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে ইডেনের ছাত্রী
ভোলার চরফ্যাশনের ওমরপুরে প্রেমিক মিজানুর রহমান তৈয়বের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ঢাকা ইডেন কলেজেল এক সাবেক ছাত্রী।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। এর আগে গত ১২ এপ্রিল প্রথম দফায় অনশন শুরু করলে পুলিশ ও স্থানীয়দের সমঝোতায় অনশন স্থগিত করেন তিনি।
ইডেন কলেজের সাবেক এই ছাত্রী বলেন, চাকরি হলে বিয়ে করার কথা বলে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর আর যোগাযোগ রাখছেন না তিনি।
বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে তরুণী বলেন, বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক মিজানুর আত্মগোপনে চলে গেছেন। তবে বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।
ইডেন কলেজের সাবেক ছাত্রী জানান, দেড় বছর আগে মিজানুরের সঙ্গে একটি চাকরির পরীক্ষার সূত্রে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিজানুর তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। চাকরি হলে বিয়ে করবেন—এমন আশ্বাসে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। তিন মাস আগে মিজানুনের তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি হয়। এরপর থেকে তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মিজানুর। তার মোবাইল ফোন নম্বর, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সবকিছুতে ব্লক করে দেন।
তিনি আরও জানান, গত ১২ এপ্রিল তিনি প্রেমিক মিজানুরের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তখন থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা সমঝোতার আশ্বাসে অনশন প্রত্যাহার করে চরফ্যাসনে তার এক আত্মীয়ের জিম্মায় রাখেন। সে সময় পুলিশ মিজানের দুই ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মিজানুরকে উপস্থিত করার শর্তে তাদের থেকে মুছলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ১৮ এপ্রিল মিজানুরের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনেও মিজানুর উপস্থিত হননি। স্থানীয়দের সমঝোতার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় গতকাল সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় অনশন শুরু করেন তিনি।
মিজানুর রহমান তৈয়বের বাবা জানান, ওই তরুণীকে বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন। ছেলেকে বাড়িতে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নওরিস হক বলেন, ‘অনশনরত ওই তরুণী যদি আইনি সহায়তা চান তাহলে দেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। তারপরেও আমরা তাকে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছি।’