ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ওই ইউনিটটি অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে দায়িত্বপালন করে থাকে। ইউনিটের নাম নেতজাহ ইহুদা ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তারা কোনো মার্কিন সামরিক সহায়তা পাবেন না বা কোনো প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন না।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন কয়েক দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারেন। তিনটি সরকারি সূত্র থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার আগে পশ্চিম তীরের ঘটনার উপর ভিত্তি করে, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইউনিটটিকে ২০২২ সালে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে আইডিএফ এবং পুলিশের একাধিক ইউনিটের বিরুদ্ধে। তাদের আচরণের বিস্তারিত মূল্যায়নের পরনিষেধাজ্ঞার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্সিওস জানিয়েছে, অন্য ইউনিটগুলোকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। কারণ তারা আচরণে বদল ঘটিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
জানা যায়, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৯৭ সালের ‘লেহি আইন' অনুযায়ী নেয়া হয়েছে। এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বিদেশি নিরাপত্তা এবং সামরিক ইউনিটগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়।
ইতিমধ্যে ইসরায়েল সরকার এর তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্য এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে এই ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস