আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে: ড. মঈন খান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক হৃদ্রোগে আক্তান্ত ডা. পারভেজ রেজা কাকনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘অতীতে কখনোই বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে শুরু করে। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বর্জন করে। এরপর আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করা হলে দেশের সামাজিক কাঠামোটা ভেঙে যাবে। তারা নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে।’
এ সময় দলের অবস্থান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছাড়া এবং এই সরকার ও তাদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘হামলা-মামলা ও গুলির মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমনের জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। এসব করেও গত ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনেও মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিতে পারেনি সরকার। ভয় দেখিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। দেশের জনগণ কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করেছে। তারা ভোট কেন্দ্রে যায়নি। কারণ এই ভোটের ওপর তাদের আস্থা নেই। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সরকার দেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শাসন করা ও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার নীতি ভুল। তারা বিরোধী দল দমনসহ বিএনপিকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘সরকারকে বলব- প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে একটি আদর্শের রাজনীতিতে ফিরে আসুন। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ডা. পারভেজ রেজা কাকনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার সময় তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাজধানীর ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে গিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক অবস্থার ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ড. আব্দুল মঈন খান।