দর্শক খরায় হল থেকে নামল তিন সিনেমা
ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ১১টি সিনেমা। এ তালিকায় আছে- হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘লিপস্টিক’, জাহিদ হোসেনের ‘সোনার চর’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা: জ্বীন ২’, ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া: দ্য লাভ’, কাজী হায়াতের ‘গ্রিন কার্ড’ ও ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’।
এর মধ্যে দর্শক না থাকায় ঈদের ৪ দিনের মাথায় সিনেপ্লেক্স থেকে নেমে গেল তিনটি সিনেমা। যদিও একটি সিনেমা এক সপ্তাহ চালায় প্রেক্ষাগৃহগুলো। কিন্তু সেই সময়টুকুও ধরে রাখতে পারেনি ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাগুলো। দর্শক খরায় হল থেকে ছিটকে পড়েছে সিনেমাগুলো। তিন সিনেমার তালিকায় আছে- ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’, ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ ও কাজী হায়াতের ‘গ্রিন কার্ড’। গতকাল সোমবার স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা থেকে সিনেমাগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
তিনি বলেন, ‘দেখুন আমরা পারলে ১১টি ছবিই চালাতাম। কিন্তু সবগুলো ছবির শো টাইম ম্যানেজ করতে পারিনি বলে সেটা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে যে ৮টি ছবি আমরা নিয়েছি তার মধ্যেও রয়েছে দর্শকদের বাচ-বিচার। এমন ছবি আছে দর্শক টিকিট পাচ্ছে না। আবার এমনও আছে যেগুলোর নির্ধারিত শো চালানোর মতো দর্শক খুঁজে পাচ্ছি না। বলতে পারেন দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঈদের ৫ম দিনে এসে আমরা তিনটি ছবি ড্রপ করেছি। দর্শকরা চাইলে আবারও এই ছবিগুলো আমরা দেখাবো।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঈদের প্রথম দিন থেকে সবচেয়ে আশাবাদী ছিলাম “দেয়ালের দেশ” ছবিটি নিয়ে। এটির সর্বোচ্চ ১৭টি শো আমরা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ঈদের পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে। দর্শক চাহিদা কম থাকায় শো কমাতে হয়েছে। বাড়াতে হয়েছে “রাজকুমার” ও “ওমর”র শো। আসলে আমাদের হাতে কিছু নেই, সবই দর্শকদের চাহিদার ওপর নির্ভর করছে।’