স্বামীর দেওয়া আগুনে পুড়ে মরল স্ত্রী, শাশুড়ি আটক
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বকচর গ্রামে স্বামীর দেওয়া আগুনে পুড়ে মরল স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২৩)। এ ঘটনায় শাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে (৬৭) আটক করেছে পুলিশ। তবে স্বামী ইব্রাহিম প্রধান পলাতক রয়েছেন।
আজ রবিবার খাদিজার বাবা খবর পেয়ে থানায় মামলা করেন। ইব্রাহিম প্রধান বকচর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় ইব্রাহিম প্রদান যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী খাদিজা আক্তারের শরীরে শ্যালো মেশিনের ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় খাদিজার চিৎকারে ছুটে এসে প্রতিবেশী মনির ও মহসিন পাটের বস্তা ভিজিয়ে আগুন নেভায়। পরে খাদিজাকে আহত অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ও ইনস্টিটিউট নেওয়া হয়।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাত দেড়টায় খাদিজা মারা যায়। খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ আগুনে দগ্ধ হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি খাদিজার পরিবারকে গোপন করে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করা হয়।
আজ রবিবার খাদিজার বাবা মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় খাদিজার শাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে আটক করেছে।
খাদিজা ইব্রাহিমের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে ইব্রাহিম আরও ২টি বিয়ে করেছেন। যৌতুকের নির্যাতনের কারণে আগের দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। খাদিজার দুটি ছেলে রয়েছে। ৪ বছর আগে খাদিজার সঙ্গে ইব্রাহিমের বিয়ে হয়। তখন থেকেই ইব্রাহিম ও তার মা যৌতুকের জন্য খাদিজাকে নির্যাতন করে আসছে।
খাদিজার বাবা খোকন মিয়া বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। এ সব নিয়ে অনেকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। আমার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ্য নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সব কিছু সহে গেছে।’
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা জানান, খাদিজার শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।