জলদস্যুদের কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি: নৌ প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৫
শেয়ার :
জলদস্যুদের কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি: নৌ প্রতিমন্ত্রী

মুক্তিপণ দিয়ে সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করা হয়েছে, এমন তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।’

আজ রবিবার সকালে মিন্টো রোডের বাসভবনে এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মুক্তিপণের ব্যাপারে জাহাজটির মালিকপক্ষও সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি। তবে ভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হেলিকপ্টারে তিনটি ব্যাগে করে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। টাকা বুঝে নিয়ে দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপরই মুক্ত হয় নাবিকসহ জাহাজটি।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিপণ সংক্রান্ত যে সংবাদ ও ছবি প্রচার করা হচ্ছে এসবের সত্যতা নেই। ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের ফিরে আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন লাগতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জলদস্যুরা যখন জাহাজ থেকে নেমে যাচ্ছিলো তখন কয়েকজন নাবিককে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শক্ত ভূমিকা নেওয়ার কারণে এটা সম্ভব হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজসহ নাবিকদের দখলে নেবার সময় জাহাজে ২০ জন জলদস্যু ছিলো। তারা যখন জাহাজ ছেড়ে যায় তখন দস্যু ছিল ৬৫ জন। জিম্মি নাবিক উদ্ধারে ডিপার্টমেন্টন অফ শিপিং এত ইমেইল চালাচালি করেছে সেটা প্রিন্ট করলে বাস্কেট ভর্তি হয়ে যাবে। সবাই সুস্থ আছেন নাবিকরা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশের পতাকাবাহী জাহাজ যেখানে যায় সেটি আমরা অবগত থাকি।’

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্ত নাবিকরা কবে নাগাদ দেশে ফিরবে সেটা এখন বলা কঠিন। কারণ হল চুক্তিবদ্ধ নাবিকরা জাহাজ থেকে নামতে চাইলে সেটা মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। জাহাজে কবে নাগাদ কোথা থেকে নাবিক রিপ্লেস হবে, নাকি এরাই তাদের চুক্তিবদ্ধ সময় অনুযায়ী ডিউটি করে পরিবারের কাছে আসবে এটা মালিক ও নাবিকদের ব্যাপার। আমার ধারণা নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতও সময় লাগতে পারে।’