ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আজ থেকে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বৈসাবি উৎসব। সকাল থেকে পাহাড়ি নারীরা বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ নিয়ে একে একে চলে আসে কাপ্তাই হ্রদে। সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদ প্রার্থনা করে কাপ্তাই হ্রদে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে পানিতে ফুল ভাসিয়ে উৎসবের সূচনা করেন।
আজ শুক্রবার রাঙ্গামাটি রাজবাড়ী ঘাটে বৈসাবি উদযাপন কমিটি উদ্যোগে ভোরে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে তিন দিন উৎসবের সূচনা করা হয়। অন্যদিকে সকালে গর্জনতলীতে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্য ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে ত্রিপুরাদের বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
এসময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব বৈসাবি উৎসব। আর বৈসাবি উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়কে এক করে দিয়েছে। পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের এ যেন মিলন মেলা। এই উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অ লে সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হবে।’
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘বৈসাবি উৎসবকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় উৎসবের উচ্ছ্বাস বয়ে যাচ্ছে। এই ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়েই শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর তিন দিনব্যাপী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু। আগামীকাল শনিবার মূল বিজু পালিত হয়। রবিবার গোজ্যেপোজ্যে দিন পালিত হবে যার যার ঘরে।’
বৈসাবির উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর এই তিনদিনে আনন্দ উৎসবে মেতে থাকবে পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। আগামীকাল মুল বিজুর উৎসব পালন করবে পাহাড়ের জনগোষ্ঠী। ঐতিহ্যবাহী পাঁজন রান্না করে অতিথি আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে মুল বিজুর আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই জলোৎসবের মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।