মারধরে নয়, চালক ও সুপারভাইজারের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায়
বাড়তি ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আশুলিয়ায় যাত্রীদের মারধরে চালক ও সুপারভাইজারের মৃত্যু হয়নি। অপর একটি বাসের চাপায় তারা মারা গেছেন। নিজেকে বাঁচাতে মারধরের মিথ্যা গল্পটি সাজিয়েছিলেন বাসের হেলপার দাবি করা আব্দুর রহমান।
আজ বুধবার সকালে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি।
নিজেকে ওই বাসের হেলপার দাবি করা আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। তখন ড্রাইভার সোহেল রানা বাবু আমাকে গাড়ি চালাতে বলে ঝামেলা মেটানোর জন্য নিজেই গেটের কাছে যান। এ সময় সোহেল ও সুপারভাইজার হৃদয় যাত্রীদের ডাক ছিল। পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া নিয়েও ভেতরে যাত্রীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কও চলছিল। এক পর্যায়ে বাসে গেটের পাশ দিয়ে আরেকটি বাস যায়। সেসময় গেটে থাকা বাবু ও হৃদয়কে ওই বাসটি ধাক্কা দেয়। ফলে ওই দুইজন রাস্তায় পড়ে যান। আমি ভয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে পালিয়ে যাই। একটু পরে আবার ফিরে এসে অন্যদের সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।
পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, ‘আব্দুর রহমান নিজেকে বাঁচাতে যাত্রীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসারের কাছে আব্দুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাতে আমাদের খানিকটা সন্দেহ হয়। কেন না তার বক্তব্য অনুযায়ী ১০-১২ জন ব্যক্তি বাস থেকে নামিয়ে দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। কিন্তু প্রাথমিক সুরতহালে এমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্যের সঙ্গে আঘাতের চিহ্নের কোনো মিল নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে আমরা একজন প্রত্যক্ষদর্শীকে পাই। যিনি আমাদেরকে জানান- দুই বাসের মাঝে চাপ খেয়ে সোহেল ও হৃদয় আহত হন। পরবর্তীতে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। পরে আমরা বাসের হেলপার পরিচয় দেওয়া আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলার এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। তখন ড্রাইভার সোহেল রানা বাবু আমাকে গাড়ি চালাতে বলে ঝামেলা মেটানোর জন্য নিজেই গেটের কাছে যান। এ সময় সোহেল ও সুপারভাইজার হৃদয় যাত্রীদের ডাক ছিল। এক পর্যায়ে বাসে গেটের পাশ দিয়ে আরেকটি বাস যায়। সেসময় গেটে থাকা বাবু ও হৃদয়কে ওই বাসটি ধাক্কা দেয়। ফলে ওই দুইজন রাস্তায় পড়ে যান। আমি ভয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে পালিয়ে যাই। একটু পরে আবার ফিরে এসে অন্যদের সঙ্গে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।’