নজরুলের একটি ঘরের আকুতি, নেই ঈদের আনন্দ
ঈদ মানে খুশি বা আনন্দ। সমাজের ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মুসলিম ধর্মালম্বীরা। কিন্তু অসহায় হতদরিদ্র অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলামের পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ৪ নম্বর আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধুলজুরী গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। একটি ভাঙা কুঁড়ে ঘরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তার পরিবার। বৃষ্টি এলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। আর্থিক দৈন্যদশার কারণে তিনি মেরামত করতে পারছে না। অবশেষে গত বছরের প্রথম দিকে ভাঙা জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরটি মেরামত করতে না পারায় পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে তার পরিবার হোসেনপুর পৌরসভা বাজার এলাকায় অন্যদের সহায়তায় বসবাস করছেন। পেশায় নজরুল ইসলাম একজন অটোরিকশা চালক।
গত ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। সে থেকেই বিছানায় কাতরাচ্ছেন। নজরুল ইসলামের ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের সংসারে কোনো আয় না থাকায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। আর মাত্র ঈদের ২-৩ দিন বাকি। ঈদের কেনাকাটাতো দূরের কথা, ঈদের দিন কি খাবে তাই নিয়ে ভাবছে অসহায় পরিবারটি। নজরুল ইসলামের স্ত্রী শিউলি আক্তার কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কিভাবে ঈদ উদ্যাপন করবো আল্লাহই তা জানেন। সমাজের কোনো দানশীল কিংবা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসহায় পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করবে এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।