নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ হবে কবে?

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ৬ মাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ হবে কবে?

গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। চলমান যুদ্ধের ছয় মাস পূর্ণ হলো। এই সময়ের মধ্যে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন- যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এক লাখের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। লাখো মানুষ বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে লড়ছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১২শ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করেছিল হামাস। সে সময় হামাসকে ‘চূর্ণ ও ধ্বংস’ করার হুমকি দিয়েছিল ইসরায়েল। একই সঙ্গে সমস্ত জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কিন্তু ছয় মাস পরও হামাস লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসরায়েলও সব জিম্মি ফিরিয়ে নিতে পারেনি। মাঝখান দিয়ে নির্বিচারে রক্ত ঝরছে ফিলিস্তিনিদের।

৭ অক্টোবরের আগে হামাসের প্রায় ৩০ হাজার যোদ্ধা ছিল। ইসরায়েল বলেছে, এ পর্যন্ত ১৩ হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। যদিও এই সংখ্যাটি ঠিক কি-না তা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা যায়নি।

১৯৬ ত্রাণকর্মীকে হত্যা : নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন মোট ১৯৬ ত্রাণকর্মী। এই ত্রাণকর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সম্প্রতি গাজার দেইর আল বালাহতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন ৭ ত্রাণকর্মী। এই ত্রাণকর্মীদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়া, তিনজন ব্রিটেন, একজন যুক্তরাষ্ট্র, একজন পোল্যান্ড এবং একজন ফিলিস্তিনের নাগরিক।