চাকরির ৯ বছর পর জানা গেল শিক্ষকের সনদ জাল
চাকরি করার ৯ বছর পর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক স্কুলশিক্ষকের শিক্ষাসনদ জাল প্রমাণ হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোছা. আন্জুমান আরা। তিনি থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৩ মার্চ মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক পত্র আসে স্কুলে। ওই পত্রের ভিত্তিতে গত মার্চ মাসের বেতন ও ভাতা বন্ধ করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষকের।
অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে নামের মিল থাকায় অন্যের সনদ ব্যবহার করে চাকরিতে যোগদান করেন আন্জুমান আরা। পরে ফারদিন হাসান ফাহিম নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলে মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্তে জানা যায়, মোছা. আঞ্জুমান আরা চাকুরি নিতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্সের যে সনদটি দিয়েছেন, ওই সনদটি প্রকৃতপক্ষে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা. আঞ্জুমান আরার। যার রোল নং- ২০১২০১২ রেজি- নম্বর- ১২০০০১৬ সেসন ও পাশের সন ২০১২। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্রটি দিয়ে চাকরি নেন তিনি।
অভিযোগকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশির তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লে জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ায় জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী তার বেতন ভাতাদি বন্ধের সুপারিশ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষক থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ দিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি নেন। দীর্ঘ ৯ বছর যাবত বেতন ভাতাও উত্তোলন করে আসছেন।
থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাজাহান মিয়া বলেন, ওই শিক্ষকের এমপিও শিটে তার নামের পাশে বেতন ভাতাদি স্থাগিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।