দেশ সঠিক পথে চললে ব্যাংকে ডাকাতি হলো কেন, প্রশ্ন মঈন খানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৫
শেয়ার :
দেশ সঠিক পথে চললে ব্যাংকে ডাকাতি হলো কেন, প্রশ্ন মঈন খানের

বাংলাদেশ সঠিকে পথে চলছে বান্দরবানে ব্যাংকে ডাকাতি হলো কেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব কারাবন্দী হাবিব উন নবী খান সোহেলের শান্তিনগরের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সঠিক পথে চললে ব্যাংকে ডাকাতি হলো কেন? সরকার শুধু রাজনীতিকে ধ্বংস করেনি, দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সরকারের ব্যর্থতায় রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে। তাই ব্যাংক ডাকাতিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দেশ পরিচালনায় সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

এদিকে, বান্দারবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে সরকারের যে ইনভলভমেন্ট নেই, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তারা জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে- এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না, তাও বলা যাচ্ছে না।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কারণ, দেশে বর্তমানে যে ভয়াবহ সংকট চলছে, চারদিকে অভাব-অনটন, ব্যাংক হরিলুট, অর্থপাচার, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস, সীমান্তে লাগাতার হত্যা, সরকারের নতজানু নীতি, আজ যে শিশু জন্ম নিচ্ছে তার মাথায়ও এক লাখ টাকা ঋণ, অভাবের তাড়নায় বা হাসপাতালের বিল পরিশোধ না করতে পেরে মা তার শিশুকে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে সব মিলিয়ে এ রকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তা আড়াল করতেও সরকার নানা ঘটনা ঘটাতে পারে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশে যখন গণবেরাধী সরকার থাকে; তখন দেশের অভ্যন্তরে নানা সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর জন্ম নেয়। পাহাড়ের সন্ত্রাসী ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সরকারের ঘনিষ্টজনদের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারে ঘটনা দেখে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হয়ে পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতি বা লুটেপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পাহাড়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। সমাজে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্য অগণতান্ত্রিক সরকার দায়ী।’