রূপপুরে আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫০
শেয়ার :
রূপপুরে আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চায় বাংলাদেশ

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প এলাকায় নতুন আরেকটি ২ ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে রাশিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।  এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কেন্দ্র নির্মাণে দ্রুত সমীক্ষা শুরুর প্রস্তাব করেছে রাশিয়া।

আজ মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ান পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যালেক্সি লিখাচেভ। তখন তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশান ফেডারেশনের সহায়তায় রূপপুরে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কারিগরি সমীক্ষা পরিচালনা করা প্রয়োজন।

নজরুল ইসলাম বলেন, সাক্ষাৎকালে রোসাটমের ডিজি নতুন দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ শুরু করতে উক্ত কারিগরি সমীক্ষা দ্রুততম সময়ে শুরু করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারিগরি বিভিন্ন বিষয় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটে ব্যবহৃত পারমানবিক জ্বালানি রাশান ফেডারেশনে ফেরত নিতে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় রোসাটমের ডিজি প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদিত ব্যবহৃত পারমানবিক জ্বালানি রাশান ফেডারেশনে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে রাশান সরকারের পক্ষে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, সাক্ষাতকালে রোসাটম ডিজি বলেন, ‘রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার প্রায় আড়াই হাজার জনশক্তি কাজ করছে এবং তারা এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে।’

 এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোসাটম ডিজিকে বাংলাদেশি এসব দক্ষ মানবসম্পদকে অন্য পারমাণবিক প্রকল্পে কাজে লাগাতে বলেন।

রোসাটম ডিজির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিনন্দন জানান। তিনিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন।

সাক্ষাৎকালে কালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।