বাবরের লক্ষ্য এবার মাউন্ট এভারেস্ট ও লোৎসে

অনলাইন ডেস্ক
৩০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫২
শেয়ার :
বাবরের লক্ষ্য এবার মাউন্ট এভারেস্ট ও লোৎসে

এবার বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসে অভিযানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের তরুণ বাবর আলী। আজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিষয়ে বাবর আলী বিস্তারিত জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেন, ‘বেশিরভাগ পর্বতারোহীই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিন্দুতে দাঁড়িয়ে বাকি পৃথিবী দেখার স্বপ্ন দেখেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমি সব সময় চ্যালেঞ্জিং আর নতুন কিছু করতে পছন্দ করি বলেই একই অভিযানে এভারেস্টের সাথে লোৎসে আরোহণের এই প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছি।’

অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে বাবর আলী বলেন, ‘এই অভিযানে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশে রওনা হবো। সেখান থেকে সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষে পৌঁছাব বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে সেখান থেকেই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মে মাসের তৃতীয় অথবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহণ সম্পন্ন হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স'র সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দিন এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ নুর ফয়সাল।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বাবরের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা। এই অভিযানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই। 

উল্লেখ্য, পর্বতারোহণে বাবরের পথচলা শুরু ২০১৪ সাল থেকে। ট্রেকিং-এর জগতে ২০১০ সালে; পার্বত্য চট্টগ্রামের নানান পাহাড়ে পথচলার মধ্য দিয়ে। চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। এই ক্লাবের হয়েই গত দশ বছরে হিমালয়ের নানান শিখরে অভিযান করে আসছেন তিনি। ভারতের উত্তরকাশীর নেহরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন ২০১৭ সালে। ২০২২ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম ও টেকনিক্যাল চূড়া আমা দাবলাম (২ হাজার ৩৪৯ ফুট) আরোহণ করেন বাবর।