ঈদ যাত্রায় নৌ পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে: অতিরিক্ত আইজিপি

অনলাইন ডেস্ক
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২৪
শেয়ার :
ঈদ যাত্রায় নৌ পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে: অতিরিক্ত আইজিপি

নৌ পুলিশ প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর। পবিত্র ঈদে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশ সকল নৌ ঘাট, নৌ টার্মিনালগুলোয় দায়িত্ব পালন করবে। গতকাল বুধবার নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে আইনশৃঙ্খলা ও নৌ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘নৌপথ নিরাপদ রাখতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হবে। নৌ পুলিশ কর্মদক্ষতার মাধ্যমে নৌপথে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সে আস্থার জায়গা সবসময়ই ধরে রাখতে চাই। নৌ পথে সব ধরনের অপরাধ নির্মূলে নৌ পুলিশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘নৌ পথে যেকোনো সমস্যায় নৌ পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে নৌ পুলিশকে অবগত করলে নৌ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উদযাপনে নৌপথ ব্যবহারকারী প্রত্যেকেই যেনো নিরাপদে তাদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ সবসময়ই আপনাদের পাশে রয়েছে।’

সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বাঅনৌচ (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা, লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্ক হেড শ্রমিক ইউনিয়ন, লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বাঘাবাড়ি, সুন্দরবন নেভিগেশন সদরঘাট, এম কে শিপিং লাইন্সসহ নৌযান ও নৌপথের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, ডিসি লালবাগ, ডিএমপি, নৌ পুলিশের সব অঞ্চলের পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ নৌপথ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, সূর্যাস্তের পর বাল্কহেড ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা, ঈদ পূর্ববর্তী ৫ দিন, ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী ৫ দিনসহ মোট ১১ দিন বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যেকোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি, নৌযান চলাচলের পথে মাছ শিকারের জন্য জাল বিছানো প্রতিরোধ করা, বৈধ কাগজপত্রবিহীন কোনো নৌযান না চালানো, ন্যায্যমূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান হতে যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ, সব নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিং এবং সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাকরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।