বাংলাদেশ নিয়ে ফের প্রশ্ন, যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে, সচিব ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই, এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে?
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
উত্তরে মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিল অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার এবং মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করে স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।