রুয়েটের সাবেক ভিসি-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ পন্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ায় আজ বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন রুয়েটের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) এবং ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ এবং একই বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক রেজিস্টার সেলিম হোসেন। এরমধ্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরে। অন্যদিকে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুরে।
মামলা অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একে অন্যকে লাভবান করার জন্য অপরাধমুলক, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। লিখিত পরীক্ষা কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অধিক নম্বর প্রদান করে নিয়োগদান করেছেন। তারা ৬ জন সেকশান অফিসারের পদের বিপরীতে নিয়োগ দিয়েছেন ১৩ জনকে। জুনিয়র সেকশান অফিসার পদের অনুমোদন ও শুণ্য পদ না থাকা সত্ত্বেও এই পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। পিএটু ভিসি ও পরিচালক পদে দুই জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৩ জনকে নিয়োগদান করেন।
এ দিকে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বিজ্ঞপ্তিতে এক পদে বিপরীতে দুইজনকে নিয়োগদান, মালির তিনটি পদের বিপরীতে ৭ জনকে নিয়োদ প্রদান, গাড়িচালকের একটি পদের বিপরীতে ৩ জন, কুকের পদের বিপরীতে ৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
দুদকের অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব অপরাধমুলক কাজ করেছেন। ফলে আসামিরা ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের আগষ্ট পর্যন্ত সময়ে অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন ভাতা ও সহায়ক সুবিধাদি বাবদ ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ১০৯ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ধারায় অপরাধে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে দুদক ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেন। সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়।