আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানী স্পেশাল ইকোনমিক জোনের চলমান কাজ পরিদর্শন করে সন্তোষ জানিয়েছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। একই সঙ্গে তিনি -এর পরিকল্পনা, নির্মাণ কাঠামো এবং সম্ভাবনা দেখে গভীর আগ্রহের কথা জানান।
আজ বুধবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানী স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করেন। তিনি এ সময় অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবগত হন।
ভুটানের রাজা জানিয়েছেন, তার দেশ বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় একটি ভুটানীজ ইকোনিক জোন নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বৃহস্পতিবার তিনি কুড়িগ্রাম যাবেন।
ইকোনমিক জোন পরিদর্শনে তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইকোনোমিক জোন কি অবদান রাখছে। জোনে উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা কেমন থাকবে। জবাবে বেজার কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশী-বিদেশী বিনিযোগকারীরা বিনিয়োগ করছেন। এতে কর্মসংস্থান হচ্ছে, রপ্তানি বাড়ছে, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আলী, জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জাপানের রাস্ট্রদূত কিমিনোরি আইওয়ামা, ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়, জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে, আড়াইহাজার জাপানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাওয়াচি, বেজার সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব সালেহ আহমেদ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহমেদ, আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৫ মার্চ চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের রাজা। সফর শেষে তিনি ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্দর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়বেন।
এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সফর করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। তবে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এটিই তার প্রথম সফর।