ঢাকা জেলা প্রশাসনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। পরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেনজির আহমদ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সালের ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছি আমাদের প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সম্ভব হয়েছে ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু অনিবার্য ভাবে পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও একটি স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিস প্রধান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকমণ্ডলী ও শিশু-কিশোররা ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।