যে কাজ করলে নতুন প্রজন্মকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলবেন গণপূর্তমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০
শেয়ার :
যে কাজ করলে নতুন প্রজন্মকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলবেন গণপূর্তমন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ রেখে যেতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মের যারা মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি, তাদের দায়িত্ব হলো দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও বসবাসযোগ্য দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একাগ্রচিত্তে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা—এটা করতে পারলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন, আমি আপনাকে মুক্তিযোদ্ধা বলব।’

আজ মঙ্গলবার রাজউক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গণপূর্তমন্ত্রী। 

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে পূর্ণতা দিতে পেরেছিলেন। কারণ তিনি নিখাদ দেশপ্রেম এবং সর্বপ্রকার ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাঙালির সার্বজনীন স্বার্থের জন্য কাজ করেছিলেন। আর এভাবেই বাঙালির হাজার বছরের পরম লালিত স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করতে পেরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’

বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রেরিত এক মহাপুরুষ উল্লেখ করে আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্জনের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দেওয়ার মতো ইস্পাতকঠিন অঙ্গীকারে যুদ্ধে নেমেছিলেন। ভাবনার পবিত্রতার এক অনন্য স্তরে উন্নীত হতে পেরেছিলেন কেবল দেশমাতৃকার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্যই। বাংলাদেশের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, আমাদের ভেতরে যদি ঘুণপোকা না থাকে, আমরা যদি এই দেশটাকে কুরে কুরে না খাই—তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সুখে থাকবে।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর  (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, এন ডি সি-সহ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।