আদালতে নেওয়ার আগে ব্যাপক মারধর
৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ
মস্কোয় কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। ওই চারজনকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ সময় তাদের শরীরে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এদিকে শুক্রবার হামলার পর গতকাল পর্যন্ত নিহত বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিবিসির।
ধারণা করা হচ্ছে, চারজনকেই মারধর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে নেওয়া হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন চারজনের নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলেন- দালেরদজন মিরজোয়েভ, সাইদাক্রমি মুরোদালি রাচাবালিজোদা, শামসিদিন ফরিদুনি এবং মুহাম্মাদ সোবির ফায়জভ। ভিডিওতে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে মস্কোর বাসমানি জেলা আদালতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
৬০০ দিন পর কারামুক্ত কাশ্মীরের সাংবাদিক
ধারণা করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। নৃশংস মারধরের ভিডিওগুলো রুশ নিরাপত্তা বাহিনী ফাঁস করেছে এবং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত একজনকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে। মিরজোয়েভ এবং রাচাবালিজোদা নামে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের চোখ ছিল কালো এবং শেষোক্তজনের কানে ভারী ব্যান্ডেজ ছিল। খবরে বলা হয়েছে, তার কান আংশিক ছিন্ন হয়ে গেছে। মিরজোয়েভের গলায় ছেঁড়া প্লাস্টিকের ব্যাগ জড়ানো দেখা গেছে। ফরিদুনি নামে ব্যক্তির মুখ ফুলে গেছে এবং ফায়জভকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে নেওয়া হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তার একটি চোখ নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, মিরজোয়েভ ‘পুরোপুরি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন’, অন্যদিকে রাচাবালিজোদা ‘অপরাধ স্বীকার করেছে’। তাদের তাজিকিস্তানের নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
হামলার পেছনে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে পরস্পর-বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে হামলার দায় স্বীকার করে ভিডিও পোস্ট করেছে। বিবিসি ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেছে। কিন্তু রুশ কর্মকর্তারা কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইউক্রেনের জড়িত থাকার দাবি করে আসছে। যদিও ইউক্রেন বলছে ‘এটি অবাস্তব’।
এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যেহেতু এটি নিয়ে তদন্ত চলছে এ কারণে এ নিয়ে মন্তব্য করা অনুচিত। তবে সন্দেহভাজনদের নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ফ্রান্স সন্ত্রাসবাদ রুখতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পন্থা অবলম্বন করেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন গতকাল বলেছেন, মস্কো হামলার পেছনে আইএসের হাত রয়েছে... সম্প্রতি তারা ফ্রান্সকেও টার্গেট করেছে। এ ছাড়া ইউক্রেনকে দোষারূপ করার ব্যাপারে রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন ম্যাক্রন।