মেঘনায় ট্রলারডুবি /

কনস্টেবলসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৯
শেয়ার :
কনস্টেবলসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার চার দিনের মাথায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫) ও বেলন দে (৩৮) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট আটটি মরদেহ উদ্ধার হলো। 

আজ সোমবার সকালে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কনস্টেবল সোহেল রানার ছেলে রাইসুল (৫) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মনিরুজ্জামান জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দে’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুল এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে কাজ চলছে।

এর আগে গতকাল রবিবার বিকেল ৩টার দিকে নিখোঁজ ব্যক্তির উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার কন্যা আনিকা আক্তার (২০), অপরজন ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), পুলিশ সদস্য সোহেল রানার কন্যা মাহমুদা (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আগের দিন শনিবার দুপুরে দিকে নিখোঁজ ব্যক্তির উদ্ধার অভিযানের প্রথম দিনে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও টুনটুন দের মেয়ে আরাধ্য দে (১২) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরপরই ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।