মরা গরুর মাংস বিক্রি করতে গিয়ে ধরা দুই ভাই
বাগেরহাটের শরণখোলায় মরা গরু জবাই করে প্রকাশ্যে সেই মাংস বিক্রি করছিলেন তিন ভাই। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে জানায়। আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে। তবে এর মধ্যে একজন কৌশলে পালিয়ে যান।
আটককালে তাদের কাছ থেকে দুটি ড্রামে ভর্তি প্রায় এক মণ মাংস, মাথা, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ডালিম ও আলামীন। এরমধ্যে হালিম পালিয়ে গেছেন।
তবে আটক ডালিম ও আলামীন জানান, তারা এই মরা গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত না। তারা তিন ভাই সবাই আলাদা আলাদাভাবে মাংসের ব্যবসা করেন। এই মাংস তাদের অপর ভাই হালিমের। তিনি মাংস ফেলে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। বেশকিছু মাংস বিক্রিও করেছে তারা। অভিযান টের পেয়ে চক্রটি মাংস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ লুকানোর চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে মার্কেট থেকে কিছুটা দূরে বান্দাঘাটা স্লুইস গেট এলাকা থেকে দুটি ড্রামে ভরা প্রায় এক মণ মাংস, চামড়া ও নাড়ি-ভুড়ি জব্দ করা হয়েছে। চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা গেলেও একজন পালিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত পশুর মাংস বিক্রি জঘন্য অপরাধ। এটা খাওয়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাঁচরাস্তা প্রশাসন মার্কেটে মাংস ব্যবসা করছে। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মরা, অসুস্থ গরু-ছাগল কম দামে কিনে তা জবাই করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা মরা-রোগা পশুর মাংস বিক্রি করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাইজুল ইসলাম জানান, ইউএনওর অভিযানে আটক দুই ব্যক্তি, গরুর মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থানা হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইগনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক দুই ভাইকে শরণখোলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।