‘বিএনপির একেকজন একেক কথা বলেন, শুনতে চাই ফখরুল কী বলেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০
শেয়ার :
‘বিএনপির একেকজন একেক কথা বলেন, শুনতে চাই ফখরুল কী বলেন’

বিএনপি নেতারা একেকজন একেক কথা বললেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন, তা জানতে চান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রবিবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা বাস র‌্যাপিড (বিআরটি) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় নির্মিত সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি এখন দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। এখনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যে লেনদেন, আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এর মধ্যে এই ধরনের বিষয় কি বাস্তবসম্মত?’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই ক্লান্ত, তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল আমরা দেখি না। মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান, রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।’

বিএনপি নেতা হাফিজের দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে? এটি প্রতারণাপূর্ণ একটি কৌশল। আসলে দলটির নেতারা একেকজন একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন, তিনিই দলের মুখপাত্র।’

মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকার কেন করবে? এর কোনো যুক্তিও নেই, বাস্তবতাও নেই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো কথা বলা নেই।’

অনুষ্ঠানে ঈদযাত্রাকে আরও স্বস্তিদায়ক করতে গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের সাতটি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। এ সময় আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে এসব ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করায় বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাত্রা আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে।’

সাতটি ফ্লাইওভার যান চলাচলে উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন ও গাজীপুর প্রান্তে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।