গুলি, আতঙ্ক আর আর্তনাদ

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে সন্ত্রাসের বীভৎসতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
গুলি, আতঙ্ক আর আর্তনাদ

অবিরাম নির্বিচার গুলি। চারদিকে আতঙ্ক। কারও কারও গগনবিদারী আর্তনাদ। শুক্রবার বীভৎস এক বাস্তবের মুখে পড়েছিলেন শত শত রুশ নাগরিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার বিবরণ উঠে এসেছে রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসিসহ গণমাধ্যমগুলোয়।

আলোকচিত্রী ডেভ প্রিমভ বিবিসিকে বলেছেন, রাত আটটার দিকে হল প্রায় ভর্তি। গান শুরু হবে। এরই মধ্যে মুখ ঢাকা কিছু বন্দুকধারী ভেতরে ঢুকে নিচের তলায় এলোপাতাড়ি গুলি করতে শুরু করে। ব্যালকনি থেকে এ হামলা দেখেছেন প্রিমভ। তিনি বলেন, প্রাণ বাঁচাতে যে যার মতো লুকানোর চেষ্টা করেছেন। অনেকেই আতঙ্কে চিৎকার করেছেন।

সংগীত প্রযোজক অ্যালেক্সি এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনি। চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চারদিকে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।’

ঘটনাস্থলে থাকা আরআইএ নভোস্তি সংবাদ সংস্থার এক সাংবাদিক জানান, হামলাকারীরা ক্যামোফ্লেজ ইউনিফর্ম পরা ছিলেন। তারা হলে প্রবেশ করে গুলির পাশাপাশি গ্রেনেডও নিক্ষেপ করে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে এএফপির সাংবাদিক কনসার্ট হলের ছাদ থেকে কালো ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখতে পান। অগ্নিকাণ্ডে ছাদের একাংশ ধসে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, গুলি চালানোর পরপরই প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমাদের পেছন থেকে গুলি- গুলির শব্দ। গুলিবর্ষণ নাকি বিস্ফোরণ- আমি জানি না কি। মুহূর্তের মধ্যেই জীবন বাঁচাতে মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করল। সবাই দৌড়ে এস্কেলেটরের কাছে গেল। সবাই চিৎকার করছিল; সবাই দৌড়াচ্ছিল।