বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কারও অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কারও কোনো অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনাস্থান পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা মাঝে মাঝে হয়। বিএনপি আমলে ধ্বংসপ্রায় রেলকে আজ প্রধানমন্ত্রী জাগিয়ে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে রেল আজ আধুনিক পরিবহন হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন রেললাইন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ঢাকা-কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালু হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল-পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। যাত্রীভ্রমণ ও পণ্য পরিবহনে সব চেয়ে সস্তা মাধ্যম রেল।
এ সময় রেলের পূর্বাঞ্চল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, এটাকে নাশকতা বলব না। বিয়ারিং প্লেট গ্যাপ হওয়ার কারণেও এ দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্তে উঠে আসবে সঠিক ঘটনা।
চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাফর মিঞা বলেন, ‘আমাদের ৬ থেকে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে একেকটা গ্যাং করা আছে। একজন মিস্ত্রী থাকে, যাকে আমরা ম্যাক বলি থাকে। আর ডাবল লাইন থাকলে দুজন চাবি ওয়ালা (কিম্যান)। ১০-১১ জন ওয়েম্যান থাকে। প্রতিদিনের কাজ হচ্ছে চাবিওয়লারা তাদের এরিয়া পায়ে হেঁটে ১ জন আপলাইন অপরজন ডাউনলাইন পর্যবেক্ষণ করবে। তারা প্রতিটি পিলার ও নাট দেখবে। ওইদিন মিস্ত্রী ছুটিতে ছিল।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম ৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে করিম চৌধুরী, রাজশাহী ২ আসনের সংসদ (এমপি) সদস্য শফিকুর রহমান, ঠাকুরগাঁও ২ আসনের সদস্য নুরুন নাহারসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রমুখ।