ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন বিএনপির দেউলিয়াত্বের প্রকাশ: নানক

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮
শেয়ার :
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন বিএনপির দেউলিয়াত্বের প্রকাশ: নানক

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সঙ্গী ভারতের পণ্য বর্জনের মাধ্যমে বিএনপির দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি কঠিন লড়াইয়ে রয়েছি, আমাদের এখন খুব সহজ সময় যাচ্ছে না। আবার এই বিএনপি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা যখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন। এই ভারতীয় পণ্য বর্জন, ভারত বিরোধিতা হলো ওদের রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার অপচেষ্টা মাত্র। কিন্তু তারা জানে না, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ভারত ইস্যু ঘিরে যে ভারত জুজুর রাজনীতি করেছিল সে বাংলাদেশ আজ আর নেই। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সস্তা ইস্যু তৈরি করতে এ আন্দোলন করছে।’

স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমি একমাত্র মানুষ যে বরিশালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা মাইকিং করেছিলাম। তাহলে তো আমিও ঘোষক। যারা চুয়ান্ন দেখেনি তাদের অনেকে বলেন, হুইসেল বাতি দিয়েছেন আর স্বাধীনতা এসে গিয়েছে। জিয়াউর রহমান বায়ান্ন, চুয়ান্ন, ছাপ্পান্ন, আটান্ন, ছেষট্টি, ঊনসত্তর দেখেননি। জিয়াউর রহমান সত্তরের নির্বাচনও দেখেননি। সে জিয়াউর রহমান হঠাৎ করে এসে চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে ঘোষণা করেই ঘোষক হয়ে গেলেন? যদি জিয়াউর রহমান ঘোষক হয় অন বিহ্যাফ অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এ স্বাধীনতার কথা বলে, তাহলে কি জাহাঙ্গীর কবির নানকও ঘোষক? তাহলে কি কল রেডিও ঘোষক? এ হলো ইতিহাস বিকৃতি। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা দীর্ঘ কালো অধ্যায় পার করেছি।’

বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর ওপর আলোকপাত করে নানক বলেন, ‘মুজিব শব্দের অর্থ উত্তরদাতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে উত্তর দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি এক ধরনের মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠেছেন যে আমাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং মানুষকে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন, ৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের (মাওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতির মূল ধারায় যুক্ত হন, ১৯৫৩ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।’ 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য দেন।