সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
১৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০৯
শেয়ার :
সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সরকারের নির্ধারিত দামেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার মনিটরিংয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানান তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদক থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য অ্যাপস দেওয়া হচ্ছে। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী রাখা হবে না, যাতে করে সাধারণ ক্রেতারা হয়রানি না হয়। আমরা সারাদেশে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি সে অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছে। কয়েকটা জায়গায় কম মূল্যও বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি ১৪০ টাকার জায়গায় ১৩৮ টাকাও বিক্রি করছে। তেল ১৬৩ টাকার বিপরীতে ১৫৮ টাকা বিক্রি করছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি বিভাগের যেসব পণ্য উৎপাদিত হয়, তার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে এটি কিন্তু নির্ধারিত নয়। আমরা মাত্র কার্যক্রমটি শুরু করেছি। ধীরে ধীরে উৎপাদক, পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলে দাম পর্যায়ক্রমে কমে আসবে।’

অবৈধভাবে মজুদ করে পণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে মজুদ করবে তা‌দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযান মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি ক‌রে। বাজা‌রে পণ্য সরবরাহ থাকলে মূল্যও ঠিক থাকবে। উৎপাদক বা পাইকারিরা যদি খুচরা ব্যবসায়ী‌দের ন্যায্যমূল্যে পণ্য দি‌তে পা‌রে তাইলে খুচরা বিক্রেতারাও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি কর‌তে পারবে। খুচরা বিক্রেতা যদি সঠিক কাগজ দেখা‌তে পা‌রে তাহলে তা‌দের জরিমানা করা হবে না।’ 

গতকাল সোমবার টাঙ্গাইল শহরের পার্কের বাজারগু‌লোতে জানা‌নো হয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আজ বাজার মনিটরিং করবেন। ফলে মন্ত্রী আসার আগে ব্যবসায়ীরা সেই মোতা‌বেক পণ্যের দাম কিছুটা কমিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা। 

এদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও মানছে না কেউই। ক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোথাও পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। তালিকায় বেঁধে দেওয়া দামে বাজার করা স্বপ্ন মাত্র।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই দামে পাইকারিতেও পণ্য মিলবে না। আর এই বিষয়টি ক্রেতারা বুঝতে চান না।

আজ বাজার মনিটরিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ আরও অনেকে।