পণ্যের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে সরকারের চেষ্টার কমতি নেই: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে সরকারের চেষ্টার সামান্যতম কমতি নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তদারকি হচ্ছে। যে কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, এখন কিছু পণ্যের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও যাতে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসে সে ব্যাপারে সরকারের চেষ্টার সামান্যতম কমতি নেই। সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অপেক্ষা করুন; আমার মনে হয়, চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে।’
গতকাল সোমবার বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, সরকার নড়বড়ে হয়ে গেছে এবং যে কোনো সময় পতন হবে। এ জন্য তারা তাদের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে— একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র বলেছে ইন্ডিয়াকে। বলেছে, তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছ, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারেও সাহায্য কর। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে! আমাদের নির্বাচনও হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘বিএনপির বন্ধুপ্রতীম দেশের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার বিষয়। নির্বাচন ছাড়া তাদের অন্য কোনো বিদেশি শক্তি এসে সহযোগিতা করে ক্ষমতায় বসাতে এটা তো হতে পারে না। ক্ষমতায় বসানোর মালিক এ দেশের জনগণ। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব না।’
বিএনএমের সদস্য থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি এখনো সেই দলের সদস্য পদে আছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন করেছে। জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন নিতে তাকে দলের প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি, সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে (বিএনএমের সদস্য থাকা) কিছু জানি না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নির্বাচনের আগে সরকার ‘কিংস পার্টি’ তৈরি করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন করে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল চ্যাটার্জি, আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।