শিশুকে উন্নত পরিবেশ দিতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫
শেয়ার :
শিশুকে উন্নত পরিবেশ দিতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রযুক্তি শিক্ষা শিশুকাল থেকেই পাওয়ার ব্যবস্থা এবং খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার। কোনো শিশুই যেন নিরক্ষর না থাকে, শিক্ষা লাভের জন্য যেন উন্নত পরিবেশ পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

আজ রবিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিয়াসা জামিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজায় শিশুদের ওপর যখন বর্বরচিত হামলা হয় তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? এগুলো তাদের চোখে পড়ে না। অনেকেই শিশু অধিকার ও মানবাধিকারের কথা বলেন। আমরা সব সময় শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

সকল জাতীয় দিবস সম্পর্কে জানতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে মানবিক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় শিশুদের ভালবাসতেন তিনি শিশুদের শিক্ষা দান, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনোদন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উদ্বুদ্ধ করতেন। সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অসহায় দুঃস্থ শিশুদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডে কেয়ার সেন্টার, অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, কোনো শিশুই যেন অবহেলিত না থাকে, শিশুদের নিরাপত্তা সুরক্ষায় শিশু আইন প্রণয়ন করে শিশুদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন। কিন্তু জাতির জন্য দুর্ভাগ্য ১৫ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু অসহায়, দুঃস্থ শিশুদের সেবায় এগিয়ে আসতেন। লেখাপড়া করার সময় সহপাঠীদের বই খাতা থেকে শুরু করে ছাতা এমনকি পরনের জামা-কাপড় পর্যন্ত তিনি অসহায় ও দুস্থদের বিলিয়ে দিতেন। আমাদের লক্ষ্য একটাই এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

এর আগে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতির জনকের সমাধিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর পবিত্র ফাতেহা পাঠ দোয়া এবং বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা। 

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধিতে রক্ষিত মন্তব্য বহিতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর দেন। 

এরপর দুপুরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে হেলিকপ্টারে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।