সারাদেশে রেলের ২৩ হাজার একর জমি বেদখলে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘রেলের আওতাধীন জমি দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করেছি। ভুয়া কাগজ তৈরি করে অনেকেই রেলের জমি ভোগ দখল করছেন। সারাদেশে এ রকম ২৩ হাজার একর জমি আছে, যেগুলো বেদখল হয়ে গেছে। ধাপে ধাপে সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের হল রুমে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘ঢাকায় একেকটি জমির মূল্য ১০০ কোটি টাকার ওপরে। বঙ্গবাজারের মতো জায়গাসহ ঢাকার ১১টি বড় স্থান রেলের, যেগুলো বেদখল হয়ে আছে। একটি স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা বঙ্গবাজারে মার্কেট নির্মাণ করতে চাইছিল। আমি দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ওইসব মার্কেটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। রেলের জমি ভোগ করলে প্রথমে রেলের জমিদারি দখলত্ব মানতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেলের জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য আমি আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ী-২ থেকে শুরু করেছি। এরই মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রেলের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য রেল ভবনসহ স্থাপনা তৈরিতে রেলের প্রচুর জমির প্রয়োজন। যে কারণে দ্রুতই সারাদেশে অভিযান শুরু হবে। একটি মহল রেলের জমি দখল করে ভুয়া কাগজ তৈরি করেছে তারাও পার পাবে না। জেলা প্রশাসনসহ রেলের লোকজনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাদের সঠিক কাগজপত্র আছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অবৈধদখল মুক্ত করা হবে।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবচেয়ে কম টাকায় যাতায়াতের বাহন রেলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দরের নতুন রেললাইনের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে নতুন নতুন কোচ, ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। জনবল বাড়াতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে।’
মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল মোরশেদ আরুজ, রেলওয়ে পশ্চিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।