যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাদি মহম্মদ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর দুপুর ২টা ১০ মিনিটে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান সাদি মহম্মদ। মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
তার ছোট ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ জানান, ইফতার সেরে সাদি সংগীত চর্চা করেন। এর কিছু সময় পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে সাদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
গত বছরের ৮ জুলাই সাদি মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান। এরপর থেকেই ট্রমার মধ্যে ছিলেন এই রবন্দ্রিসংগীতশিল্পী। মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মা হারানোর বেদনা নিতে পারেননি সাদি মহম্মদ।
গায়কের পারিবারিক বন্ধু ও নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা বলেছেন, শিল্পীরা একটু অভিমানী হয়। হয়তো নানা কারণেই তার মধ্যে অভিমান ছিল―যা আমরা বুঝতে পারিনি।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমী তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।