বেড়েছে সবজি-মাছ-মাংসের দাম
গেল কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছ-মাংসের দাম আরও বেড়েছে। পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিমে ২০ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আগের দামেই স্থানীয় দোকানে প্রতি ডজন ডিম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বেশি দামে কেনায় বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। স্টকে থাকা ডিম শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত কম দামে ডিম বিক্রি সম্ভব নয়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেগুন কেজিতে ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০, নতুন করে বাজারে ঢেঁড়স ৭০ টাকা, করলা ৮০, চিচিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১১০, টমেটো ৭০ থেকে ৮০, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ ও প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সবজি বিক্রেতারা জানান, রোজায় চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সবজির দাম কমতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে।
এ ছাড়া মাছের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ইলিশ আকারভেদে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১১০০, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৬০, কাতল ৩৪০ থেকে ৫৫০, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ২৮০, নদীর পোয়া ৩৫০ থেকে ৭০০ ও কৈ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন মাছ বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা ও প্রতি কেজি গরুর ফ্যাপসা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।