জলদস্যুদের কবলে সাব্বির /

বিলাপ করছেন মা, দোয়া চাইছেন বোন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৯
শেয়ার :
বিলাপ করছেন মা, দোয়া চাইছেন বোন

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলের সাব্বির হোসেন। সাব্বির জেলার নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ছেলে।

ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ হাউমাউ করে কাঁদছেন। মা সালেহা বেগম বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাইছেন। তাদের কান্না থামাতে গ্রামের লোকজন বাড়িতে এসে ভিড় করছেন। 

সাব্বির ২০১৪ সালে নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাস করেন। এরপর ২০১৬ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে পাস করার পর ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন সাব্বির।

সাব্বিরের চাচাত ভাই আহম্মেদ হোসেন রানা বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে সাব্বির। তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। বোনের বিয়ে হয়েছে। সাব্বিরের বাবা প্যারালাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সাব্বির। তার কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না। সরকারের কাছে দাবি- সাব্বিরসহ সবাইকে যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করে।’

সাব্বিরের বোন মিতু আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই গত সোমবার ফেসবুকে ছবি আপলোড দিয়েছে। এক মাস আগে সে বাড়ি আসছিল। একদিন থেকেই সে চলে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। মা-বাবা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু কেঁদেই চলছে আর বলছে আমার ছেলেকে এনে দাও। আমার ভাইয়ের কিছু হলে বাবা মাকে বাঁচানো যাবে না।’

এ বিষয়ে সহবত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ মোল্লা জানান, ‘মেরিন একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সাব্বিরসহ অপহৃত সব নাবিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’