সাদি মহম্মদকে শহীদ মিনারে নেওয়া হচ্ছে না, শায়িত হবেন মোহাম্মদপুরে
কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ আর নেই। গতকাল বুধবার রাতে নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টায়র দিকে সাদি মহম্মদের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধানমন্ডির আল মারকাজুল ইসলামীতে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে সাদি মহম্মদের নামাজে জানাজা। এরপর তাকে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এদিকে, তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাদি মহম্মদের পারিবারিক সদস্য গাউসুল আলম শাওন।
রবীন্দ্রসংগীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন সাদি মহম্মদ। ভরাট কণ্ঠস্বরের শিল্পী হিসেবে শুরু থেকেই তার নামডাক ছিল। তার গলায় বহু রবীন্দ্রসংগীত হয়েছে সমাদৃত। এ শিল্পীর প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রবি রাগ।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
শহীদ পরিবারের সন্তান সাদি মহম্মদ। তার বাবা শহীদ সলিমউল্লাহ। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে তাদের বাড়ি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার।
একাত্তরের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি মহম্মদ তকিউল্লাহর আকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ। সেই পতাকা সেলাই করে দিয়েছিলেন সাদি-শিবলীর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেটা। শহীন হন সলিমউল্লাহ।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’