আজও তানপুরা নিয়ে সংগীত চর্চা করেছেন সাদি, দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার (ভিডিও)
স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী ও শিল্পীর পারিবারিক বন্ধু শামীম আরা নীপা।
শহীদ পরিবারের সন্তান সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মহম্মদ বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী। তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ভাই আমার আর নেই। আর বেঁচে নেই।’
তবে শিবলী গণমাধ্যমকে জানান, আজও তানপুরা নিয়ে তার বড় ভাই সংগীত চর্চা করেছেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
জানা গেছে, গত বছরের ৮ জুলাই মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ (৯৬) বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান। মা মারা যাওয়ার পর থেকেই একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান শিল্পী সাদি মহম্মদ। ঠিক স্বাভাবিক ছিলেন না মানসিকভাবে।
ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতে পড়াশোনা করা সাদি মহম্মদের বাবা শহীদ সলিমউল্লাহ। ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি-১২/১০ বাড়িটি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সলিম উল্লাহর বাড়িতে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন দলের শীর্ষ নেতারা, আসতেন বঙ্গবন্ধুপুত্র শহীদ শেখ কামালও।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
একাত্তরের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি মহম্মদ তকিউল্লাহর আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ, সেই পতাকা সেলাই করে দিয়েছিলেন সাদি-শিবলীর মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ। সেই পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি। পুড়িয়ে দেয়া হয় পুরো বাড়ি, গুলি করে মারা হয় সলিম উল্লাহকে।