১০০ টন খেজুর সাত দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়ার নির্দেশ
চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারে অবস্থিত একটি হিমাগারে মজুদ করা আনুমানিক ১০০ টন প্যাকেটজাত খেজুর সাত দিনের বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যথায় এ খেজুর নিলামে বিক্রি করা হবে।
আজ বুধবার দুপুরে রিয়াজুদ্দিন বাজারে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
প্রতীক বলেন, ‘দুপুরের পর রিয়াজুদ্দিন বাজারের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একটি কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১০০ টন প্যাকেটজাত খেজুরের মজুদ পাওয়া যায়। গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা এ সব খেজুর মজুত করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মজুত করা খেজুর আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাজারে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় এ সব খেজুর জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হবে।’
চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত
এরপর চট্টগ্রামের বৃহত্তম ফল মার্কেট ফলমণ্ডিতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। এ সময় মূল্যতালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করায় সাফা-মারওয়া ড্রাই ফ্রুটসকে ৫ হাজার এবং আরোবা এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে আলী জেনারেল স্টোর নামক একটি কেনা মূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি দামে খেজুর বিক্রি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করেন কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোর্শেদ কাদের এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল।