‘মা এমবি থাকবে না, এক-দুই মাস কথা নাও হতে পারে’
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজের ২৩ জন নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জয় মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর তিনি তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
মা রোজিনা বেগমকে জয় বলেন, ‘মা আমার ফোনে এমবি থাকবে না, কথা নাও হতে পারে। আমার সঙ্গে হয়তো এক-দুই মাস কথা নাও হতে পারে। ঈদে শপিংসহ যা কেনা লাগে তোমরা কিনে নিও।’
জয় মাহমুদ জেলার বাগাতিপাড়ার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে। তিনি ওই জাহাজের সাধারণ নাবিক (ওএস) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
জানা যায়, বাংলাদেশের ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে একটি পণ্যবাহী জাহাজ কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিকের মাফতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের (শারজাহ হামারিয়া) বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। পরে সেখানে হামলা চালিয়ে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এ সময় অনেকের হাতে ভারী অস্ত্র ছিল।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
জানতে চাইলে জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ আলী বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে ভাই ফোন দিয়ে বলে, তাদের জাহাজ জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। আমার সঙ্গে আর কথা নাও হতে পারে। বাড়িতে কাউকে কিছু বলিস না।’
এরপর ফোন নিয়ে নিতে পারে বলে ফোন কেটে দেয় জয়। পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মেসেজ করে বলে ‘ফোন জমা নিল। দোয়া কইরো, আব্বু-আম্মুকে সান্ত্বনা দিও, আর কথা হবে না।’ এরপর থেকে ফোনে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ছেলে জিম্মি হওয়ার ঘটনায় পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে বলে জানান জয়ের বাবা জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেসহ জিম্মি সব নাবিকদের দ্রুত উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’