মর্গে পড়ে থাকা শেষ মরদেহটি কার, অবশেষে জানা গেল
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুল হাসান। অবশেষে ঘটনার ১২ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা শেষ মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল মরদেহটি নাজমুলের।
মরদেহটির সঙ্গে নাজমুলের বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। পরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে নাজমুলের মরদেহ বুঝে নেন তারা বাবা নজরুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ।
ঢামেক মর্গে নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা নাজমুলের মরদেহটি ১২ দিন পর পেয়েছি। সে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র ছিল। রামপুরার বনশ্রী ‘‘সি’’ ব্লকের ৯ নম্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকত সে। ঘটনার দিন সে তার বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে খেতে গিয়েছিল।’
নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন পর, আমার ছেলের মরদেহ পেয়েছি। হোটেল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলতে চাই, ‘‘আপনারা সাবধানে কাজ করবেন। যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে, যেন কোনো মায়ের কোল আর খালি না হয়।’’ দেশবাসীর কাছে আমার সন্তানের জন্য দোয়া চাই।’
নাজমুল হাসানের মরদেহ হস্তান্তর শেষে গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নলবুনিয়া কান্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার