সরকারি ক্রয় পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করছে বিপিপিএ
বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ), পৃর্বতন সিপিটিইউ, দেশে সরকারি ক্রয় পরিবেশের উন্নয়নে এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। তিনি আজ সোমবার বিপিপিএ-এর সম্মেলন কক্ষে সরকারি অংশীজনের জন্য আয়োজিত বিপিপিএ প্রতিষ্ঠা ও এর কার্যাবলী বিষয়ক ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিপিপিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘সিপিটিইউ ছিল আইএমইডির একটি ছোট ইউনিট। ক্রমবর্ধমান কারিগরি চ্যালেঞ্জ আর সরকারি ক্রয়ের চাহিদা বিবেচনায় এত কম জনবল নিয়ে সিপিটিইউ’র পক্ষে সারা দেশের ক্রয় ব্যবস্থাপনার আইনগত বিষয় মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়ের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য ২০২৩ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি আইন ২০২৩ এর আওতায় বিপিপিএ গঠিত হয়। আমরা এখন বিপিপিএ’র জন্য একটি জনবল কাঠামো তৈরি করছি। শিগগির এটি জনপ্রশাসন মণ্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, আইএমইডি, বিপিপিএ এর কর্মকর্তা সহ মোট ৫৫জন উপস্থিত ছিলেন। মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী, বিপিপিএ’র পটভূমি, বিপিপিএ প্রতিষ্ঠা ও এর কার্যাবলী এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা পেশ করেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালে দেশের সরকারি ক্রয় ছিল মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ৩০ বিলিয়ন ডলার। দেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। বিশ্বব্যাপী ক্রয়প্রক্রিয়ায় মোট ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার।’
তিনি আইনগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ও প্রশাসনিকভাবে একটি উপযোগী ক্রয় পরিবেশ গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
অথর্নীতি সরকারি ক্রয়ের একটি উল্লেখযোগ্য দিক, যা জনগণের অর্থের অর্থ মূল্য নিশ্চিত করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ই-জিপি সংশ্লিষ্ট সকলের জীবনকে আরামদায়ক করেছে। ই-জিপি সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমন দিন আসবে যখন ই-জিপি ছাড়া সরকারি ক্রয় পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।