ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
রাজধানী ঢাকার বায়ু নিত্যদিনই দূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় এ শহরের অবস্থান খুব একটা নড়চড় হচ্ছে না। ঘুরেফিরে শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর তালিকাতেই থাকছে ঢাকা।
আজ রবিবার সকাল ৮টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছিল ঢাকা। এ সময়ে মেগাসিটির বাতাসের মানের স্কোর ছিল ২১২। যা নগরবাসীর জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মান কিছুটা উন্নতির দিকে যায়। সকাল ১০টার সময় ১৯০ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল চার নম্বরে। এ সময়ে শীর্ষে উঠে আসে পাকিস্তানের লাহোর, শহরটির স্কোর ছিল ২২৫। অর্থাৎ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এই শহরের বাতাসও আজ নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
পাশাপাশি তালিকার দুই নম্বরে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ছিল ২০১। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এছাড়া সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ তিন নম্বরে আছে দেশটির আরেকটি শহর কলকাতা। শহরটির স্কোর এ সময়ে ছিল ১৯০।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উল্লেখ্য, কখনো কখনো বিশ্বের মধ্যে বায়ুদূষণের শীর্ষে চলে আসে রাজধানী ঢাকা। এই দূষণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে শিশুদের। রক্ষা পাচ্ছেন না অন্তঃসত্ত্বা নারী ও গর্ভের শিশুও। জন্মের আগেই নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছে শিশুরা। এমন পরিস্থিতি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেত্রে ভয়াবহ সংকটের বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ ব্যাপারে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধুলা ও ধোঁয়া ঢাকার বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ দায়ী। এ ধুলার বড় উৎস অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মেগা প্রকল্প, কলকারখানার নির্মাণকাজ ও পুরনো যানবাহনের দূষিত বায়ু। সরকারের কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া এ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি পাঁচ বছরেরও বেশি আয়ু কমতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।