আজ ব্যাটারি চেক করার দিবস
আজ ব্যাটারি চেক করার দিবস অর্থাৎ ‘চেক ইয়োর ব্যাটারি ডে’। প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় দিবসটি। মূলত নিয়মিত ব্যবহৃত ডিভাইসে ব্যাটারি চেক এবং পরিবর্তন করার কথা মনে করিয়ে দেয় দিবসটি।
তবে শুধুমাত্র রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস চেক করাই নয়, এ দিবস পালন করা হয় নিরাপত্তার জন্যও।
এই দিনটি আমাদের স্মোক ডিটেক্টর, কার্বন মনোক্সাইড অ্যালার্ম এবং ফ্ল্যাশলাইটের মতো প্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলোতে ব্যাটারি পরীক্ষা করতে উৎসাহিত করে। এই ব্যাটারিগুলো পরীক্ষা করে, আমরা নিশ্চিত করি যে আমাদের নিরাপত্তায় কাজে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এই দিনটি একটি রুটিন চেক-আপের চেয়েও বেশি। কারণ এটি একটি জীবন রক্ষাকারী অভ্যাস। এটি ডেলাইট সেভিং টাইমের সঙ্গেও মিলে যায়, যা মনে রাখা সহজ করে তোলে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সুতরাং আপনি আপনার ঘড়ির ব্যাটারিটি চেক করুন এবং কাজ না করলে আজই তা পরিবর্তন করুন। অথবা আপনার নিরাপত্তা অ্যালার্ম কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত হউন। ব্যাটারি দিবসে এসব চেক করা হলো সাধারণ পদক্ষেপগুলোর একটি, যা জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। মনে রাখতে হবে, আজ ব্যাটারি চেক করতে কয়েক মিনিট ব্যয় করা মানেই আগামীকাল আপনার জীবন রক্ষাকারী হতে পারে।
আমাদের সুরক্ষায় ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা দেখে নিলে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হওয়া সম্ভব। এটি অনেক সময় আমাদের জীবন রক্ষা করে।
মনে করুন আপনার একটি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু সেটি অনেক দিন ব্যবহার করা হয় না। যদি এর ব্যাটারি দুর্বল হয়ে যায় এবং আপনি কোন একটি জরুরী কাজে ছবি তুলতে চাইছেন তবে ক্যামেরা ওপেন করতে গিয়ে হতাশ হবেন। তাই আজই চেক করুন ঠিক আছে কিনা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অথবা আপনার ডায়াবেটিস চেক করার যন্ত্রটির ব্যাটারি খুবই দুর্বল, কিন্তু রাতে এটি আপনার প্রয়োজন হলো- অথচ কাজ করছে না। ফলে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের সঠিক অবস্থা জানতে পারলেন না। এমন সব বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেতেই এই দিবস।
প্রসঙ্গত, কবে থেকে বা কে এ দিবসটির সূচনা করেছিলেন তার কোন ইতিহাস এখনও জানা সম্ভব হয়নি।