যুব ক্ষমতায়নে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নতুন অংশীদারি প্রকল্প ‘বিজয়ী’র যাত্রা শুরু
দেশের যুব উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পাঁচ বছর মেয়াদী ইউএসএআইডি ‘বিজয়ী’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং ও অন্যান্যরা। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ৩৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এ প্রকল্প দেশের যুবদের দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে তাদের পেশাজীবন এগিয়ে নিতে ও দেশের কর্মশক্তির আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখবে। কেয়ার বাংলাদেশ, যুব-নেতৃত্বাধীন ও যুব-সেবায় নিয়োজিত ৯টি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। দেশের বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রকল্প থেকে ১৮-৩৫ বছর বয়সী আড়াই লাখ যুবদের চাকরির বাজারে চাহিদা আছে এমন কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে তাদের চাকরি পাওয়া কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হবে।
যুব অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বিজয়ী প্রকল্পে স্থানীয় যুব সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার, জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, ইউসেপ বাংলাদেশ, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, দ্যা আর্থ, অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি এবং তাজিংডং একসাথে কাজ করার মাধ্যমে চাকরিতে চাহিদা-সম্পন্ন বিষয়ে নিজেদের প্রশিক্ষণ দক্ষতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্প দেশের যুবদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবে। তাই এ প্রকল্পকে সফল করতে আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান বলেন, ‘আমরা জানি অনেক মেধাবী যুব মানসম্মত শিক্ষা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ কিংবা কাজের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হয়। বিজয়ী প্রকল্পের অধীনে ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ সরকার, যুব সংগঠন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে মূলত এদেশের যুবদেরই সহায়তা করবে যেন তারা নিজেদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
‘কেয়ার বাংলাদেশ ‘‘পজিটিভ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট’’ নীতি মেনে চলে, কারণ আমরা স্বীকার করি দেশের উন্নয়নে যুবদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ’ বলেন কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং। তিনি উল্লেখ করেন সরকারি উদ্যোগের সাথে সঙ্গতি রেখে কেয়ার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ এর বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে।
নারী ও প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন কমিউনিটির যুবসহ মোট আড়াই লাখ যুবদের সফট স্কিলস বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্পটি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে চায়। যেমন: প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে দেড় লাখ যুবদের ক্যারিয়ারে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি, ৬ হাজার যুব উদ্যোক্তার ব্যবসার সূচনা অথবা সম্প্রসারণ। সেইসাথে বিজয়ী প্রকল্প ৩০০ তৃণমূল যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে ক্যাম্পেইন পরিচালনায় জড়িত করতে চায়, ৫০০ যুব উদ্যোক্তার সিভিক এনগেজমেন্ট, সামাজিক ও জলবায়ু উদ্যোগকে সহজতর করতে চায়। এছাড়াও, ৩০ হাজার যুবকে সিভিক এনগেজমেন্টে যুক্ত হতে সহায়তা করতে চায়।