রোগীদের কথা ধৈর্য ধরে শুনে সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮
শেয়ার :
রোগীদের কথা ধৈর্য ধরে শুনে সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রোগীদের কথা ধৈর্য ধরে শুনে সেবা দিতে হবে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘এদেশের সাধারণ মানুষ বেশি কিছু চায় না। তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে কথা বলা, সেবা দেওয়া, কেমন আছেন এটুকু বলা, তারা আশা করে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা চিকিৎসকদের মান- সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো, কোনও একদিন এ দেশের মানুষ চিকিৎসকদের দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নিচু করবে। এটি করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনতে হবে। ধৈর্য নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। এজন্য আমরা সময় মতো হাসপাতালে যাবো, আসবো।’

আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে ‘মার্চ ২০২৪ সেশনে এমডি/এমএস প্রোগ্রাম ফেজ ‘এ’-তে ভর্তি হওয়া রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ইনডাকশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা উন্নতি করা, আমাদের দিয়ে সেটি সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে, ঢাকায় সব কিছু না। আমরা চিকিৎসকদের ইনটেনসিভ দেবো। আমাদের প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবো। আমি বিশ্বাস করি, যদি তাকে সঠিক তথ্য দিয়ে বুঝাতে পারি, তবে তিনি চিকিৎসকদের জন্য সবকিছু করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম দুই জন চিকিৎসককে দায়িত্ব দিয়েছেন। রমজান মাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে মিটিং করবো। এটি যাতে সংসদে পাস হয়, সেজন্য আমি চেষ্টা করবো।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনও দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয়। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যে মেধা আছে, তার অনেক প্রমাণ আছে। আমরা ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসে চিকিৎসা দিচ্ছি। রোগী যে বাইরে যাচ্ছে এমন নয়— ভারত থেকেও রোগী আসছে। হাঙ্গেরি থেকে যে চিকিৎসক দল জোড়া মাথা আলাদা করেছিল, সেই অপারেশনে রোগীদের অ্যানেস্থসিয়া হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা দিতে পারেননি। তাদের অ্যানেসথেসিয়া দিয়েছিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।’

বিএসএমএমইউ জানায়, এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে এক হাজার ৪২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখান থেকে ১২ হাজার চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাস করে বেড়িয়ে গেছেন। তারা জাতিকে সেবা দিচ্ছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হন, তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। এজন্য নিজেদেরকে শাণিত করতে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা ও ওয়ার্ডে কাজ করতে হয়। এখানে ক্লাস পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে হয়।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইনস্টিটিটিউটের প্রধানরা বক্তব্য রাখেন।