দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
০৪ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪
শেয়ার :
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এই দম্পতির সঙ্গে থাকা দুই মেয়ে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দম্পতির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার উত্তর মানিকপুর গ্রামে।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামের মহিন উদ্দিন ও তার স্ত্রী কেশরপাড় ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাঈমা আক্তার রূপা। নিহত নাঈমা আক্তার রূপা দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান মহিন। পরে মেঝ ভাই সালাউদ্দিন ও ছোট ভাই আলাউদ্দিনকে আফ্রিকা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন মহিন। দীর্ঘ ১২ বছর আফ্রিকার জোহানেসবার্গে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে ২০১৮ সালে বাড়িতে আসেন। এরপর বিয়ে করে মাত্র দুই মাসের মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে পুনরায় আফ্রিকায় চলে যান মহিন। তাদের সংসারে জান্নাতুল মাওয়া মিহা (৫) ও নুজিরা ইসলাম রুহি (৪) নামের দুই মেয়ে রয়েছে।

নিহত নাঈমা আক্তার রূপার বাবা আবদুল কুদ্দুস লিটন বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে নাঈমা ছিল দ্বিতীয়। ২০১৮ সালে বিয়ের পর তার স্বামী মহিন তাকে বিদেশে নিয়ে যায়। ভালো চলছিল তাদের সংসার। দুইদিন আগে মনিনের আফ্রিকার এক বন্ধুর বাসায় তারা বেরাতে যায়। বাংলাদেশ সময় গতকাল রবিবার রাত ২টায় আমার বড় মেয়ের স্বামী আল আমিন জহিরসহ একটি প্রাইভেটকার যোগে নিজেদের বাসার সামনে আসে মহিন ও রূপা। এ সময় গাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই আগে থেকে বাসার সামনে ওঁৎপেতে থাকা ৩/৪ জন ওই দেশী সন্ত্রাসী মহিন ও রূপাকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে মাথা, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় তারা দুইজন। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে জহির দ্রুত মিহা ও রুহিকে নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রূপা ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আগামি ৫ মার্চ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্বামী, রুপা ও তার পেটে থাকা বাচ্চা দুনিয়ার আলো দেখার আগেই মারা গেল। নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।’