সাতমসজিদ রোডের সেই ভবনে রাজউকের চোখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫০
শেয়ার :
সাতমসজিদ রোডের সেই ভবনে রাজউকের চোখ

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের পর আলোচনায় আসে সাতমসজিদ রোডের গাউসিয়া টুইন পিক ভবন। এই ভবনের নকশাকার স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ নিজের ফেসবুক পোস্টে ভোক্তাদের সেখানে যেতে নিষেধ করেন। ভবনের ঝুঁকি নির্ণয় করে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।

ওই স্ট্যাটাসের পর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ভবনের ছবি। ভবনটিতে অন্তত ২০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এক ভবনে এত রেস্তোরাঁ থাকায় ঝুঁকির মাত্রাও বেড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভবনটি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই আজ রবিবার দুপুরে পরিদর্শনে যায় রাজউকের জোন-৫-এর পরিচালক মো. হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল। তারা সেখানে পুরো ভবনের ব্যবহার যাচাই-বাছাই করে জানান, ভবনটিতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যত্যয় ঘটেছে।

অভিযানের বিষয়ে রাজউকের জোন-৫/৩ এর অথরাইজড অফিসার আমাদের সময়কে বলেন, ভবনটি বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া। কিন্তু এখানে যে রেস্তোরাঁ ব্যবসা হচ্ছে, সেটি রাজউক অবগত নয়। রাজউক থেকে কোনো অকুপেন্সি সনদ নেয়নি ভবন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া অনুমোদন ছিল ১৪ তলার, সেখানে তারা করেছে ১৫ তলা। শুধু তাই নয়। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইট থাকার কথা ১৫০ ফুট, করেছে ১৯০ ফুট।

তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে থাকা রেস্তোরাঁয় তাদের ইচ্ছেমতো এসি ব্যবহার করেছে। এসব কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেছে।

ভবনটির রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের নেতা ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহসান আনোয়ার আমাদের সময়কে বলেন, ‘ভবনের অকুপেন্সি সনদ আমাদের বিষয় না। আমরা ট্রেড লাইসেন্স, ডিসি অফিসের সনদ, ফায়ার সার্ভিসের সনদ, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নিয়েই ব্যবসা করছি। ভবনের ব্যবহার সনদ দেখার দায়িত্ব ডেভেলপার্সদের।’

এহসান আনোয়ার আরও বলেন, ‘আমাদের রেস্তোরাঁ অনেক নিরাপদ। এই ভবনটিতে দুটি জরুরি নির্গমন সিঁড়ি রয়েছে। তাছাড়া চারদিকে খোলা জায়গা রয়েছে। তাই যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটেও থাকে, তাহলে জরুরি বের হওয়ার পথ রয়েছে।’

পরিদর্শন শেষে রাজউকের দল কোনো সময় বেঁধে দেয়নি। টেকনিক্যাল কমিটি বসে ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান কর্মকর্তারা।