দেশে ফিরেছেন হাফিজ, বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখার অভিযোগ
হাঁটুর অস্ত্রোপচার এবং পরবর্তী চিকিৎসা শেষে আজ রবিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। সকালে পৌনে ১০টায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দিল্লী থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। তবে বিমানবন্দরে প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা বসিয়ে রাখার অভিযোগ করেন হাফিজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমার হাঁটুর অপারেশন হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর ফোর্টিজ হাসপাতালে এই অপারেশন হয়। এখন চিকিৎসার মধ্যে আছি। ছয় মাস লাগবে ঠিক হতে। মাত্র দুই মাস হয়েছে। এখন মোটামুটি লাঠি ভর দিয়ে হাঁটতে পারি।’
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কুরিন্দর বিডি’র অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
হাফিজ বলেন, ‘আজকে একটি মামলায় আমার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হবো, সেভাবেই সকালের ফ্লাইটে এসেছিলাম। কিন্তু বিমানবন্দরে প্রায় দুই ঘন্টা আমাকে বসিয়ে রাখা হয়। এখন তো আদালতের যাওয়ার আর সময় নেই। আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় আদালতে গিয়ে হাজির হবো আশা করছি।’
একটি মামলায় মেজর হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে, বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে ভোলার নেতা-কর্মীরা হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে অভ্যর্ত্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি বনানীর বাসায় আসেন।
হাঁটুর চিকিৎসার জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে দিল্লী যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে ১২ ডিসেম্বর স্ত্রী দিলারা হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে যেতে দেয়নি। ওইদিন তার স্ত্রী অধ্যাপিকা দিলারা হাফিজ একা ভারত যান।
এরপর ১৩ ডিসেম্বর হাফিজ উদ্দিন তাকে বিদেশ যেতে বাধা দেয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করলে উচ্চ আদালত তাকে বাংলাদেশ ত্যাগ ও বিদেশ থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ার পর তিনি ১৪ ডিসেম্বর দিল্লী যান।