ভোজ্য তেলের মজুদ ও বিপণন পর্যবেক্ষণ চলছে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি

অনলাইন ডেস্ক
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৫
শেয়ার :
ভোজ্য তেলের মজুদ ও বিপণন পর্যবেক্ষণ চলছে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘১ মার্চ থেকে ভোজ্য তেল লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলে সে দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই রূপগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ ৭টি রিফাইনারিতে তেলের উৎপাদন ও মজুদ পর্যবেক্ষণের জন্য ভোক্তা অধিকারের টিম গিয়েছে। চারটি পণ্যের ট্যাক্স কমালেও বাজারে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

আজ শনিবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রাক্কালে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বেইলি রোড ট্রাজিডিতে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। একজন গ্রাহক রেস্টুরেন্টে যাবার আগে তার পক্ষে জানা সম্ভব হয় না ওই স্থাপনা বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়েছে কি না। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও জরুরি নির্গমন সিঁড়িসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিক আছে কি না।’

এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আজ প্রয়োজন ভোক্তার সিন্ডিকেট। ভোক্তারা সমন্বিতভাবে কোনো দ্রব্য কেনা কমিয়ে দিলে এক সপ্তাহ পরেই তার দাম কমে আসবে, যেমন গরুর মাংস।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘দুষ্টচক্রের কারণে ন্যায্য দামে পণ্য কিনতে না পারায় ভোক্তারা কষ্টে আছেন। সিন্ডিকেটের কবল থেকে বের হতে পারছে না ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট ট্যাক্স সহনীয় রেখে উন্মুক্ত আমদানি, ডলার সংকট মোকাবিলা, ব্যাংকগুলোকে বাড়তি দামে ডলার বিক্রি না করা, পরিবহণ চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ সর্বোপরি সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দিতে পারলে ভোক্তারা সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারবে। এজন্য ভোক্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভয়েস রেইজ করতে হবে।’

কিরণ বলেন, ‘রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখার প্রচেষ্টা থাকলেও রমজান শুরুর আগেই আরেক দফা বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। সরকার বারবার নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার কথা উল্লেখ করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন ডলার সংকট, ডলারের বাড়তি দাম, সিন্ডিকেট, উচ্চ শুল্ক ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মূল্য স্বাভাবিক রাখা যাবে না।’

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জাকির হোসেন, সাংবাদিক উম্মান নাহার আজমী, সাংবাদিক মো. আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক মো. আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতাটি আয়োজনে সহযোগিতা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।