ধোঁয়ার বিষেই জীবন শেষ

সাজ্জাদ মাহমুদ খান
০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
ধোঁয়ার বিষেই জীবন শেষ

রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবন। সরু সিঁড়ি। নেই ফায়ার এক্সিট, ফায়ার ডিটেক্টর। সিঁড়ির পাশে সাজানো সারি সারি গ্যাস সিলিন্ডার। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই সিঁড়ি পেরিয়েই ভবনটির রেস্তোরাঁ আর দোকানে গিয়েছিলেন অনেক মানুষ। কেউ সপরিবারে খেতে গিয়েছিলেন, কেউবা কেনাকাটা করতে। হঠাৎ আগুন লাগার খবরে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই ছাদে ওঠেন। কিছু মানুষ দৌড়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে থরে থরে সাজানো সিলিন্ডারে আগুন লেগে সিঁড়ি হয়ে ওঠে আগুনের চুল্লি। আগুনের শিখার ছোবল থেকে বাঁচতে ভবনের পেছনের দিকের কক্ষগুলোতে আশ্রয় নেন অনেকেই। এর মধ্যে কাচ্চি ভাই নামের এক রেস্তোরাঁর একটি কক্ষে আশ্রয় নেওয়া ১২ থেকে ১৫ জন মারা গেছেন। আগুনের ধোঁয়ায় তৈরি হওয়া কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস কয়েক মিনিটেই তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, অগ্নিকা-ে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে অধিকাংশের কার্বন মনোক্সাইড নামে বিষাক্ত গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে মৃত্যু হয়েছে। একটা বদ্ধ ঘরে যখন বেরুতে পারে না, তখন এই ধোঁয়াটা শ্বাসনালিতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাদের খুব বেশি

হয়েছে তারা বাঁচতে পারেননি। এখনো যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা কেউ শঙ্কামুক্ত না। আহত অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বেইলি রোডের ভবনে আগুনে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢামেক মর্গে ৬ জনের লাশ রাখা হয়েছে। তাদের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ কা-ে চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ভবনটির তথ্য অনুসন্ধানে মাঠে নামছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক)। এজন্য ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ারম্যান (সচিব) রাজউক বরাবর দাখিল করবে।

ভয়াবহ ওই আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজও (এফবিসিসিআই)। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং অগ্নিকা-ে হতাহতদের উদ্ধারে যথেষ্ট আন্তরিক ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ফায়ার সার্ভিসসহ সাহায্যকারী সবার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় আহত ও মৃতদের ‘ইন্টার্নাল বার্ন’ হয়েছে, এক্সটার্নাল বার্ন মারাত্মক নয়। কার্বন মনোক্সাইড মারাত্মক বিষাক্ত একটি গ্যাস। এটি ইন্টার্নাল অর্গানগুলোকে নষ্ট করে দেয়। অক্সিজেন গ্রহণে বাধা প্রদান করে। ফলে যতক্ষণ না এই গ্যাস বের হচ্ছে, আহত রোগীরা শঙ্কামুক্ত নন।

কার্বন মনোক্সাইডের সম্ভাব্য উৎসের বিষয়ে তিনি বলেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে হাইড্রো কার্বন থাকে। এছাড়া মিথেন গ্যাস পুড়ে কার্বন মনোক্সাইড ও ডাই অক্সাইড তৈরি হয়।

ভবন সরেজমিন পরিদর্শন করা ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, সরু সিঁড়ির পাশে পড়ে আছে গ্যাস সিলিন্ডার। রেস্তোরাঁর ভেতরের চেয়ার ও ফোমের তৈরি বেঞ্চ পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে। পাঁচতলার একটি টেবিলের উপর প্লেটে পুরো খাবারই পড়ে আছে। চিকেনের অংশ মনে হচ্ছে হালকা করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগার আগমুহূর্তেই খাবারটি পরিবেশ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভবনে কোনো ধরনের ফায়ার এক্সিট ও ফায়ার ডিটেকটর নেই। কিছু ফায়ার ডিস্টিংগুইশার থাকলেও ব্যবহার করা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় ছাড় থাকায় মানুষের ভিড় বেশি ছিল। ভবনটির নিচতলায় আগুন লেগে দ্রুত উপরে ছড়িয়ে পড়ে। নিচতলায় আগুন লাগার কারণে ভবনটির উপরের তলাগুলোতে মানুষ আটকে পড়ে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য উপর থেকে মানুষ লাফিয়ে পড়ে। সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করেও পারেনি অনেকে। তবে বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে অনেকেরই হাত-পা ভেঙে যায়।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সিঁড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগার কারণে পুরো সিঁড়িটি ‘অগ্নি চুল্লির’ মতো হয়ে যায়। ফলে কেউ সিঁড়ি ব্যবহার করে নামতে পারেননি। সিঁড়িটি সরু হওয়ায় একসঙ্গে তিনজনের বেশি যাতায়াত করা যেত না। ভবনটির আগুন নেভানোর তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ভেতরে আটকেপড়া মানুষ ধোঁয়ার কারণে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে অচেতন হয়ে যায় এবং পরে মারা যায়।

ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ কামরুজ্জামান স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনের ছয়তলার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। উপলক্ষ ছিল তার ১২ বছর বয়সী মেয়ের জন্মদিন। তিনি জানান, রাত পৌনে দশটার দিকে তারা খাবার অর্ডার দিয়ে যখন রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করছিলেন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন বিল্ডিংয়ের নিচে মানুষ জড়ো হয়ে হইচই করছে। তার কিছুক্ষণ পরই ধোঁয়া উপরে উঠতে থাকে। ততক্ষণে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। অন্ধকারে মানুষের চিৎকার শোনা যায়। রাত দশটার দিকে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন। সে সময় ছাদে অর্ধশত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। সিঁড়ি দিয়ে বিপুল পরিমাণ ধোঁয়া আর আগুনের উত্তাপ ছাদে আসছিল। শ^াস নেওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, আমার বড় মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলছিল, বাবা, আমার জন্মদিন কি মৃত্যুদিন হয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ অবস্থায় ছাদে অবস্থান করার পর রাত সাড়ে ১১টায় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাদের ছাদ থেকে নামান।

ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভবনের নিচ তলার রেস্টুরেন্ট মেজবানি খানার কর্মী ইকবাল হোসেন বলেন, আগুন লাগার সময় আমি নিচতলার রেস্টুরেন্টের ভেতরেই ছিলাম। হইচই শুনে রেস্টুরেন্টের গেট থেকে বের হয়ে দেখি, বিল্ডিংয়ের মেইন গেটের কাছে আগুন। সেখান দিয়ে বের হওয়ার কোনো উপায় না পেয়ে আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে চলে যাই। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধোঁয়ার কু-ুলিতে সিঁড়ি ভরে যায়। এ সময় আমিসহ কয়েকজন পাঁচতলার একটি রেস্টুরেন্টের গ্রিলের সরু ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাই। এরপর লাফিয়ে নিচে নামি। নিচে পড়ে আমার পা ভেঙে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি আর লিফট পাশাপাশি। সিঁড়িতে একসাথে সর্বোচ্চ তিনজন ওঠা-নামা করতে পারবেন। লিফটে ছয় থেকে সাতজন ওঠা-নামা করা যায়। সরু সিঁড়ি আর লিফট বাদে ভবনে প্রবেশ-প্রস্থানের উপায় নেই। ভবনের নিচতালার এক কোণায় দুটি টয়লেট ও একটি ছোট রান্নাঘর ছিল। টয়লেটগুলোর পাশেই জড়ো করা থাকত অনেক গ্যাস সিলিন্ডার। নিচতলায় থাকায় গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরণ হওয়ার কারণেই আগুনের ভয়াবহতা বেশি হয়েছে। মানুষ বের হতে পারেনি।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। মাত্র একটি সিঁড়ি ছিল। ভবনের একটি ছাড়া প্রায় প্রতিটি ফ্লোরে খাবারের দোকান থাকায় গ্যাস সিলিন্ডারগুলো রাখা ছিল অপরিকল্পিতভাবে। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন জানান, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় গতকাল চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক মো. জিসানকে আটক করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় স্যামসাং ও গেজেট অ্যান্ড গিয়ার নামে দুটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান এবং শেখলিক নামে ফলের রস বিক্রির একটি দোকান ছিল। দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ইলিয়ন নামের একটি পোশাকের দোকান, চতুর্থ তলায় খানাস ও ফুকো নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় পিৎজা ইন নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় জেসটি ও স্ট্রিট ওভেন নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে অ্যামব্রোশিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

রাজউকের নগরপরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল বলেন, সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হলেও সেখানে কেবল অফিস কক্ষ ব্যবহারের জন্য অনুমোদন ছিল। কিন্তু রেস্টুরেন্ট, শোরুম বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, লাশ বহনের জন্য নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৩ জনের পরিবার এই অর্থ নিয়েছে। বাকিরা সচ্ছল হওয়ায় অর্থ নেননি। আহতদের চিকিৎসার জন্য আপাতত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এই বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিনকোজি কটেজ নামের ৭ তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত দেড়টার পর আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করে লাশ উদ্ধার করতে শুরু করে। আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে।

এর আগে ২০১০ সালে ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদামে থেকে আগুন লেগে ১২৪ জন মারা গিয়েছিল। আর ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে মারা গিয়েছিল ৭১ জন। একই বছর মার্চে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জন মারা যায়।

ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত হবে ৬ লাশ : অগ্নিকা-ে নিহতদের মধ্যে ছয়জনের লাশ দেখে চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলছে পুলিশ। তাদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে। এর মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচজনকে ঢামেকে খুঁজতে এসেছিলেন স্বজনরা। তাদের মধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ উদ্দিনের স্বজনরা রয়েছেন। বিকালে সুফিয়া নামের এক নারী তার বোন ও দুই ভাগনের খোঁজ করতে আসেন। সুফিয়া বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে তাদের মুঠোফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রশাসন বলছে, নিহতদের ডিএনএর সঙ্গে তার স্বজনদের ডিএনএ মিলিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

বেইলি রোডের অগ্নিকা-ে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অগ্নিকা-ে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সংগঠন।