বাড়ির পথে ছেলের লাশ, মাকে বলেছিলেন ‘আসব ঈদের ছুটিতে’
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ভোলার নয়ন (১৯) ও জুনায়েদ (২৩)। জুনায়েদের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালেও, বাড়ির পথে রয়েছে নয়নের মরদেহ। তাদের বাড়িতে এখন চলছে স্বজনদের আহাজারি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে বয়ের কাজ করছিলেন নয়ন। মাত্র পাঁচ দিন আগে ঢাকায় এসে তিন দিন আগে চাকরি শুরু করেন তিনি। মোবাইল ফোনে মাকে মাকে বলেছিলেন, ‘বাড়িতে আসব ঈদের ছুটিতে’।
জুনায়েদ ঢাকায় পরিবারসহ থাকতেন। রাজধানীর একটি ‘ল’ কলেজের ছাত্র ছিলেন। জুনায়েদ ভোলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাইনুল হক হারুনের ছেলে। পরিবারসহ তারা ঢাকায় থাকতেন।
নয়নের স্বজনরা জানান, নয়নের মরদেহ বাড়ির পথে রয়েছে। মাত্র পাঁচ দিনে আগে নয়ন কাজের সন্ধানে ঢাকা গিয়েছিলেন। তিন দিন আগে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। গতকালের আগুনে তার মৃত্যু হয়।
নয়নের মা নাজমা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, ছেলে মোবাইলে বলেছিলেন, ‘বাড়িতে আসব ঈদের ছুটিতে’। কিন্তু তার তো আর ফেরা হলো না।
নয়নের চাচী জুয়েনা আক্তার বলেন, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। কাজের জন্য ঢাকা গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে নয়ন, অভাবের কারণে আর পড়া হয়নি। বাধ্য হয়েই ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করে নয়ন।
ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) তামিম আল ইয়ামিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন রয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করবে।